আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং ০৭:০০ পিএম.মাদক, কিশোর অপরাধের লাগাম টানতে অভিনব উদ্যোগ ও জনবান্ধব পুলিশি সেবার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।সমাজে মানুষদের বই পড়ায় উৎসাহী করা, চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধ, শত শত গাছ রোপন এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ক্রাইম প্রিভেনশনের মতো অসাধারণ উদ্যোগ গ্রহণ করে পুলিশের সেবা মানুষের দরজায় নিয়ে গেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। যার স্বীকৃতি স্বরুপ এবার পুলিশ সপ্তাহ- ২০২৪ উপলক্ষে পুলিশের সর্বোচ্চ পদক রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা অর্জন করেছেন তিনি।গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রী তাকে এ পদক পড়িয়ে দেন।পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্রকাশিত পুলিশ পদক বই থেকে এ তথ্য জানা গেছে।কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের কর্ণধার এসপি মাহফুজ ২০২২ সাল থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ফলে সহজে পুলিশের সেবা ও সমস্যা সমাধান পেয়ে খুশি দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ।লিটল ফ্রি লাইব্রেরী:কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের উদ্ভাবনী প্রয়াসে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত চরে নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অদম্য ইচ্ছা যাতে আরও সুপ্রস্থ হয়, এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে কুড়িগ্রাম জেলার ৫টি পয়েন্টে ঢুষমারা থানার অধিক্ষেত্রেও মোহনগঞ্জের প্রত্যন্ত চরে, চিলমারী রমনা ঘাটে, কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর চরের ঘাটে ও উলিপুরের নামাজের চরে লিটল ফ্রি লাইব্রেরী স্থাপন করা হয়। সেখানে চর এলাকার সন্মানিত নাগরিকবৃন্দ বই পড়ার পাশাপাশি বই এন্ট্রি করে বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন যেটা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন সংশ্লিষ্ট চায়ের দোকানদার।সবুজ করি কুড়িগ্রাম:সবুজ করি কুড়িগ্রাম- এই শ্লোগানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগী সম্মানিত নাগরিক, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্কুল- কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, কারামুক্তিদেরসহ প্রত্যেকটি থানা এলাকায় চারাগাছ বিতরণ কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হয়। এ কর্মসূচির আলোকে গত ১৮ জুলাই থেকে শুরু করে প্রায় ৩০ হাজার চারাগাছ কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয়।ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক:নাগরিকদের সেবা প্রদান ও সদাশয় সরকারের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের নিমিত্তে নাগরিকের কম সময়ে, বিনা খরচে, কম ভিজিটে দোরগোড়ায় পুলিশী সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য সকল অংশীজনের সমন্বয়ে পুলিশের উদ্ভাবনী প্রয়াসে আয়োজিত হয় ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক। যেখানে নাগরিকদের নানাবিধ সমস্যা মনোযোগের সাথে শুনেন ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংশ্লিষ্ট সম্মানিত অংশীজনবৃন্দ। উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের অফিসারবৃন্দ সম্মানিত সেবা প্রার্থীদের বক্তব্য শুনে কার্যকরী ব্যবস্থা ও ন্যায্যতার জন্য তাৎক্ষণিক প্রসিকিউশন বা জিডি গ্রহণের উদ্যোগ নেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী অফিসসমূহে সেবা প্রার্থীদের পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য রেফার করেন। এর মাধ্যমে ইতিমধ্যেই দীর্ঘদিনের বিভিন্ন বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার হয়েছে।
© All rights reserved © DainikJobab