খন্দকার সেলিম রেজা
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা বিভাগ
নরসিংদীর উত্তর সাটিরপাড়াস্থ বায়তুস সালাম মসজিদের ৩২.৯২ শতাংশ জমির মধ্যে ১০ শতাংশের অধিক বেদখল হয়ে আছে এমন সংবাদ এর তথ্য সংগ্রহে গেলে সাংবাদিকের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে মসজিদের বর্তমান (স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ মিয়া ( যার বিরুদ্ধে মসজিদের জায়গা দখল ও বিক্রির অভিযোগ আছে) ও সোহেল আল রাজিরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। মসজিদের সচেতন মুসুল্লি ও কমিটির একাংশের আবেদনের ভিত্তিতে দৈনিক সরকার এর জেলা প্রতিনিধি মো. ইসমাইল হোসেন ও দেশগ্রামের স্টাফ রিপোর্টার ওমর ফারুক তথ্য সংগ্রহে যান এশার নামাজের পর সচেতন মুসুল্লি ও কমিটির একাংশের সাথে সাংবাদিকদের তথ্য বিনিময় হয় মসজিদের জমি বেদখলের। মতবিনিময়ের পর মসজিদের জমি বেদখল এবং মসজিদের তথ্য ভিডিও ধারণ করলে ঐখানে পূর্ব হতেই উৎপেতে থাকা (স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ মিয়া ও তার ২ ছেলে সাংবাদিকদ্বয়ের ভিডিও ধারণ করাকে ভিডিও করে এবং সাংবাদিকের ধারণকৃত ভিডিও কেটে ফেলতে হুমকি ধমকি দিতে থাকে এবং পরে তারা জুড় করে ভিডিও কেটে দেয়।মসজিদ হতে বের হয়ে বাসাইলস্থ শাপলা চত্বর জামে মসজিদের সামনে আসলে হঠাৎ করে কয়েকদিক হতে মোটরবাইক যোগে (স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ মিয়া ও সোহেল আল রাজিসহ ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তাদের উপর বর্বর আক্রমণ করে কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে মসজিদের ভিডিও ধারণ করার জন্য এবং পরবর্তীতে এই ঘটনা ও মসজিদের তথ্য সংগ্রহে কোন ধরণের সহযোগিতা করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও তারা সাংবাদিকদের দেন। পরে ঐখানে থাকা কয়েকজন মুসুল্লি ও সচেতন মানুষ তাদের হাত হতে সাংবাদিকদের মুক্ত করে নেয়।এই ঘটনার ভিত্তিতে নরসিংদী মডেল থানায় জিবনের নিরাপত্তা ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে একটি অভিযোগ করেন আহত সাংবাদিক মো. ইসমাইল হোসেন ও ওমর ফারুক সরেজমিনে তদন্তের জন্য নরসিংদী মডেল থানায় নিয়োজিত এএসআই ওয়াসিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এব্যাপারে ভিকটিম সাংবাদিকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমাদেরকে তথ্য সংগ্রহের জন্য সচেতন মুসুল্লি ও কমিটির একাংশ নিয়ে আসে। আমরা এসে তাদের সাথে মতবিনিময় করি। তাদের অভিযোগ ও আলোচনার পর তারা মসজিদের সীমানা প্রাচীর দেখাতে নিয়ে যায় এটা আমরা ভিডিও চিত্র গ্রহণ করি। পাশেই দাড়িয়ে থাকা (স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক ও তার সন্তান আমাদের দিকে তেড়ে আসে এবং ভিডিও কাটতে বাধ্য করে।এরপর আমরা মসজিদ ত্যাগ করে শাপলা চত্বরে আসলে কয়েকদিক হতে তারা আমাদের ঘেড়াও করে আক্রমণ করে ও শারীরিক নির্যাতন করে। আমাদেরকে কয়েকজন মুক্ত করলে আমরা চলে আসি ও পরে নরসিংদী মডেল থানায় একটি অভিযোগ করি শারীরিক নির্যাতন ও পরবর্তীতে প্রাণনাশের হুমকির বিরুদ্ধে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি চাই।স্থানীয় ও মসজিদ কমিটির অনেকের সাথে কথা বললে তারা জানান, মসজিদের জমি বেদখল ও কমিটির কয়েকজন মারা যাওয়ায় কমিটি নবায়ন ও বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার দরকার হয়ে পরছে। যেই জায়গা আছে তাতে ঈদ এবং জুমার নামাজে মুসুল্লি সংকুলান হয়না। আমরা এগুলোর তথ্য সংগ্রহ করতে দুইজন সাংবাদিককে আহবান করি তারা আসলে তাদের সাথে এখানে খারাপ ব্যবহার করে মসজিদে এবং শাপলা চত্বরে গিয়ে তাদের গায়ে আঘাত। যা আমরা মসজিদের মুসুল্লি হিসাবে মানতে কষ্ট হচ্ছে। সাংবাদিক সমাজ রাষ্ট্রের দর্পণ। তারা আমাদের বিবেক-মুখপত্র। তারা এখানে কোণ ধরণের অবৈধ কাজ করেনি। তাহলে তাদের উপর এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদেরকে হতাশায় ফেলছে; লজ্জিত ভাবছি নিজেদের। তারা ক্ষমতাবলে মসজিদের জায়গা দখল করবে; মুসুল্লিদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে আর বিচার চাইলেই ভেজাল! আমরা এর বিচার চাই।